টেবিলের উপর চারটে চায়ের কাপ | এখনো ধোয়া উঠছে | আজ আর আমি কানে হেডফোন গুঁজে নেই, বাবার হাতে টিভির রিমোট নেই, মা রান্নাঘরে যাওয়ার জন্য ব্যস্ত না | ঠাম্মাও ঝিমোচ্ছে না | অদ্ভূত ব্যাপার !
সময়টাও অদ্ভত. ঘড়ি বলছে ৪:২৫, ভোর বেলা |
হালকা আলো, ঠান্ডা হাওয়া, শরতের ছোট ছোট পায়ে আসা যাওয়া, আর একটা আলাদা গন্ধ | পুজো আসছে |
ওহ! বলতে ভুলে গেছি, টেবিলের উপর আরেকটা জিনিস আছে | চায়ের কাপের সাথে গুঁতগুতি করে সেও বিরাজমান | দাদুর সেই পুরনো রেডিওটা | আজ তার বড় ডিমান্ড | একটু পরেই বিরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রর গলাতে 'মহিষাসুর মর্দিনী' শুরু হবে যে | কলকাতা ক'র দিকে এনটেনা উঁচিয়ে টেবিলের রেডিওটা অপেক্ষাতে | ঘড়ির কাঁটায় ৪:৩০ বাজতেই যেন ম্যাজিক ঘটে গেল | একটু আগের নিশ্চুপ পাড়াটা হঠাত একই ব্যাকগ্রাউন্ড মিউসিকে বাজতে লাগলো |
শুধু তাই নয় | কাশফুল ছাড়া শহরে, যেখানে বিজয়ার কোলাকুলিটাও ওয়েবক্যাম'এর মাধ্যমে হয়, যেখানের অপু দূর্গারা ফেইসবুকই ব্যস্ত, যেখানে পুজো আসার খবর আমরা খবরের কাগজ ভর্তি জুতো আর জামাকাপড়ের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে পাই, সেই ফ্লাট ভর্তি শহরে হঠাত একটা ঠান্ডা শান্তি |
'ইয়া দেবী সর্বাভুতেশু, শক্তি রুপেনা সংহস্থিতা .. '
আর তার সাথে গোটা শহরের একটা দীর্ঘস্বাস | যাক, পুজোটা এলো তালে | এবার তো আর কয়েকটা দিন মাত্র, তারপরই দুগ্গা ঠাকুরের দিকে চেয়ে পুরো কলকাতা হিপনোটাইসড | আবার সেই অষ্টমীর অঞ্জলি, নবমীর ম্যাডক্স | কলকাতাও তখন ব্যানার, থিম মন্ডপ, আর LED আলোর শারী পরে সুন্দরী তিলোত্তমা |
লাউডস্পিকারে মুন্নি বদনাম, আর আর আমরা তখন নতুন জামার গন্ধ মেখে মন্ডপে মন্ডপে | তারপরই তো দশমী | দুগ্গা ঠাকুর সিঁদুর সন্দেশ মেখে,ছেলে মেয়ে নিয়ে জলে ডাইভ মারবেন, আর সাথে এত্তগুলো লোকের একসাথে মনখারাপ |
যাই হোক, মহালয়াতে ফেরা যাক?
কুমারটুলিতে মায়ের চোখ আঁকা শুরু হয়ে গেছে | বাবুঘাটে ডুব দিয়ে, গঙ্গার জল ছিটিয়ে শুরু হয়ে গেছে তর্পণও | মানুষের সমুদ্রের মাঝখান দিয়ে রাস্তা বানিয়ে দুগ্গা ঠাকুর আসবেন | দোলাতে আসছেন না নৌকো করে, সে খবর আমরা রাখিনা | তবে আমরা আছি | কুমারটুলিতেও আছি, বাবুঘাটেও আছি | ক্যামেরা হাতে বা কাগজ পেন নিয়ে, বা কখনো পেইন্টিং ক্যানভাস, রঙের তুলি হাতে |
আমাদের মহালয়াটা এরকমই |
বাকগ্রউন্ডে কিন্তু একই আওয়াজ |
'মহিষাসুর মর্দিনী .. '
সময়টাও অদ্ভত. ঘড়ি বলছে ৪:২৫, ভোর বেলা |
হালকা আলো, ঠান্ডা হাওয়া, শরতের ছোট ছোট পায়ে আসা যাওয়া, আর একটা আলাদা গন্ধ | পুজো আসছে |
ওহ! বলতে ভুলে গেছি, টেবিলের উপর আরেকটা জিনিস আছে | চায়ের কাপের সাথে গুঁতগুতি করে সেও বিরাজমান | দাদুর সেই পুরনো রেডিওটা | আজ তার বড় ডিমান্ড | একটু পরেই বিরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রর গলাতে 'মহিষাসুর মর্দিনী' শুরু হবে যে | কলকাতা ক'র দিকে এনটেনা উঁচিয়ে টেবিলের রেডিওটা অপেক্ষাতে | ঘড়ির কাঁটায় ৪:৩০ বাজতেই যেন ম্যাজিক ঘটে গেল | একটু আগের নিশ্চুপ পাড়াটা হঠাত একই ব্যাকগ্রাউন্ড মিউসিকে বাজতে লাগলো |
শুধু তাই নয় | কাশফুল ছাড়া শহরে, যেখানে বিজয়ার কোলাকুলিটাও ওয়েবক্যাম'এর মাধ্যমে হয়, যেখানের অপু দূর্গারা ফেইসবুকই ব্যস্ত, যেখানে পুজো আসার খবর আমরা খবরের কাগজ ভর্তি জুতো আর জামাকাপড়ের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে পাই, সেই ফ্লাট ভর্তি শহরে হঠাত একটা ঠান্ডা শান্তি |
'ইয়া দেবী সর্বাভুতেশু, শক্তি রুপেনা সংহস্থিতা .. '
আর তার সাথে গোটা শহরের একটা দীর্ঘস্বাস | যাক, পুজোটা এলো তালে | এবার তো আর কয়েকটা দিন মাত্র, তারপরই দুগ্গা ঠাকুরের দিকে চেয়ে পুরো কলকাতা হিপনোটাইসড | আবার সেই অষ্টমীর অঞ্জলি, নবমীর ম্যাডক্স | কলকাতাও তখন ব্যানার, থিম মন্ডপ, আর LED আলোর শারী পরে সুন্দরী তিলোত্তমা |
লাউডস্পিকারে মুন্নি বদনাম, আর আর আমরা তখন নতুন জামার গন্ধ মেখে মন্ডপে মন্ডপে | তারপরই তো দশমী | দুগ্গা ঠাকুর সিঁদুর সন্দেশ মেখে,ছেলে মেয়ে নিয়ে জলে ডাইভ মারবেন, আর সাথে এত্তগুলো লোকের একসাথে মনখারাপ |
যাই হোক, মহালয়াতে ফেরা যাক?
কুমারটুলিতে মায়ের চোখ আঁকা শুরু হয়ে গেছে | বাবুঘাটে ডুব দিয়ে, গঙ্গার জল ছিটিয়ে শুরু হয়ে গেছে তর্পণও | মানুষের সমুদ্রের মাঝখান দিয়ে রাস্তা বানিয়ে দুগ্গা ঠাকুর আসবেন | দোলাতে আসছেন না নৌকো করে, সে খবর আমরা রাখিনা | তবে আমরা আছি | কুমারটুলিতেও আছি, বাবুঘাটেও আছি | ক্যামেরা হাতে বা কাগজ পেন নিয়ে, বা কখনো পেইন্টিং ক্যানভাস, রঙের তুলি হাতে |
আমাদের মহালয়াটা এরকমই |
বাকগ্রউন্ডে কিন্তু একই আওয়াজ |
'মহিষাসুর মর্দিনী .. '